Header Ads

ইলেক্ট্রিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু যন্ত্রাংশের সাথে পরিচিতি - Introduction to some important electrical components

ইলেক্ট্রিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু যন্ত্রাংশের সাথে পরিচিতি - Introduction to some important electrical components




ডায়োড (Diode): একটি দুই প্রান্ত বিশিষ্ট ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশ যা বর্তনীতে কেবল মাত্র একদিকে তড়িৎপ্রবাহ হতে সাহায্য করে । এছাড়াও বৈদ্যুতিক উপায়ে ধারকত্ব নিয়ন্ত্রণ (ভ্যারিক্যাপ) এবং বিকিরণ, নিঃসরণ ও কম্পন সংবেদী ইলেকট্রনিক সুইচ তৈরিতে ডায়োড ব্যবহৃত হয়। তড়িৎশক্তির আকর্ষণীয় উৎস সৌর কোষও মূলত এক ধরনের আলোক-সংবেদী ডায়োড।






    • Resistor রেজিস্টারঃ একটি ইংরেজি শব্দ যার বাংলা অর্থ হচ্ছে রোধক। রোধ শব্দ থেকে বুঝা যায় যে এটি বাধা প্রধানকারী একটি উপাদান। কোন পরিবাহির মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ বাধা প্রধানকারী ডিভাইসকে Resistor বলে। এটি মূলত দুই প্রান্ত বিশিষ্ট একটি প্যাসিভ ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইস।

      রেজিস্ট্যান্সঃ
      পরিবাহির যে বৈশিষ্টের কারণে বিদ্যুৎ প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয় তাকে রেজিস্ট্যান্স বলে।

      প্রকাশ, প্রতীক ও একক:
      রোধকে R দিয়ে প্রকাশ করে হয়। এর একক ওহম (Ω). নিচের চিত্রে রেজিস্টরের কিছু প্রতীক দেওয়া হলো যেগুলো বিভিন্ন সার্কিট বোর্ড ও সার্কিট ডায়াগ্রামে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

      প্রকারভেদঃ
      Resistor মুলত দুই প্রকার:

      -ফিক্সড রেজিস্টরঃ
      কার্বন কম্পোজিট
      কার্বন পাইল
      কার্বন ফিল্ম
      প্রিন্টেড কার্বন
      থিক এবং ফিল্ম
      মেটাল ফিল্ড
      মেটাল অক্সাইড ফিল্ড
      ওয়্যার উন্ড
      ফয়েল

      -ভেরিয়েবল রেজিস্টরঃ
      এডজাস্টেবল
      পটেনশিওমিটার
      রেজিস্ট্যান্স ডিকেড বক্স





  1. ট্রানজিস্টর (Transistor): একটি অর্ধপরিবাহী যন্ত্র, যা সাধারণত অ্যামপ্লিফায়ার এবং বৈদ্যুতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটার, সেলুলার ফোন এবং অন্য সকল আধুনিক ইলেকট্রনিক্সের মূল গাঠনিক উপাদান হিসেবে ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়। দ্রুত সাড়া প্রদানের ক্ষমতা এবং সঠিক সম্পূর্ণ সঠিকভাবে কার্য সাধনের ক্ষমতার কারণে এটি আধুনিক ডিজাটাল বা অ্যানালগ যন্ত্রপাতি তৈরীতে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। নির্দিষ্ট ব্যবহারগুলোর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক অ্যামপ্লিফায়ার, সুইচ, ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক, সংকেত উপযোজন এবং ওসিলেটর। আলাদা আলাদাভাবে ট্রানজিস্টর তৈরি করা যায়। আবার সমন্বিত বর্তনীর অভ্যন্তরে একটি অতি ক্ষুদ্র স্থানে কয়েক মিলিয়ন পর্যন্ত ট্রানজিস্টর সংযুক্ত করা যায়।





  2. Transformer বা রূপান্তরকঃ Transformer বা রূপান্তরক বলতে এমন একটি বৈদ্যুতিক কলকৌশলকে বোঝায় যার মাধ্যমে তড়িৎচৌম্বকীয় আবেশের মূলনীতি ব্যবহার করে একটি পরিবর্তী প্রবাহের বৈদ্যুতিক বর্তনী থেকে বৈদ্যুতিক শক্তিকে অপর একটি বর্তনীতে বৈদ্যুতিক বিভব, বৈদ্যুতিক প্রবাহ, দশা বা সামগ্রিক প্রতিরোধে পরিবর্তন সাধন করে স্থানান্তরিত করা হয়। একে ইংরেজিতে "ট্রান্সফর্মার" (Transformer) বলে। সাধারণত রূপান্তরকগুলিতে কোনও পরিবর্তী তড়িৎ ব‍্যবস্থায় অপরিবর্তিত কম্পাঙ্কতে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ শক্তিকে বিভবের মান অনুযায়ী কমিয়ে বা বাড়িয়ে এক বর্তনী থেকে অন‍্য বর্তনীতে স্থানান্তর করা যায়। রূপান্তরক একটি (সাধারণত লোহার) মজ্জা ও দুইটি (অন্তরিত তামার তারের) কুণ্ডলী নিয়ে গঠিত; মুখ্য কুণ্ডলীতে পরিবর্তী বিদ্যুৎপ্রবাহ একটি পরিবর্তী চৌম্বকীয় ক্ষেত্র সৃষ্টি করে, যেটি গৌণ কুণ্ডলীতে পরিবর্তী বিদ্যুৎপ্রবাহের সৃষ্টি করে। গৌণ ও মুখ্য কুণ্ডলীতে বিভবের (ভোল্টেজ) অনুপাত গৌণ ও মুখ্য কুণ্ডলীতে প্যাঁচের অনুপাতের প্রায় সমান। উচ্চ কর্মদক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য রূপান্তরকের মজ্জাটিকে প্রায়শই স্তরিত লোহা (laminated iron) দিয়ে তৈরি করা হয়, যেটি উচ্চ প্রবেশ্যতা প্রদান করে ও ঘূর্ণি বিদ্যুৎপ্রবাহগুলিকে (Eddy current) ন্যূনতম মাত্রায় নিয়ে আসে।




  3. ক্যাপাসিটর (Capacitor): সহজভাবে বলতে গেলে ক্যাপাসিটর বা ধারক হচ্ছে অনেকটা রি- চার্জএবল ব্যাটারির মতো। তবে এর চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতা অনেক কম।
    পাঠ্য-পুস্তক এর ভাষায় “এটি এমন একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র যা দুটি পরিবাহী পাতের মাঝে ডাই-ইলেক্ট্রিক অপরিবাহী পদার্থ নিয়ে গঠিত”। ক্যাপাসিটরের বৈদ্যুতিক এনার্জি বা চার্জ সঞ্চয় করার ধর্ম কে ক্যাপাসিট্যান্স বলে।

    ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরের বৈশিষ্ট্যঃ
    এটি এক ধরনের পােলারাইজড ক্যাপাসিটর।
    এর প্লেট দু’টি পজেটিভ এবং নেগেটিভ ইলেকট্রোড হিসেবে চিহ্নিত থাকে।
    এটি সাধারণত ডিসিতে ব্যবহৃত হয়।
    এ ধরনের ক্যাপাসিটরের ক্যাপাসিট্যান্সের মান সাধারণত এক মাইক্রো ফ্যারাড বা তার চেয়ে বেশি হয়।
    এরা আকারে খুব ছােট হয়।

    ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরের প্রকারভেদ
    ইলেকট্রোলাইট ক্যাপাসিটর মূলত দু’ধনের হয়। যথা-
    ১| ওয়েট টাইপ (Wet type)
    ২| ড্রাই টাইপ (Dry type)।

    ওয়েট টাইপ : এ ধরনের ক্যাপাসিটরের একটি ইলেকট্রোড অ্যালুমিনিয়ামের এবং অন্যটি ইলেকট্রোলাইটিক সলিউশন, সাধারণত অ্যামােনিয়া, বরিক এসিড এবং পানির সংমিশ্রণ গঠিত।

    ড্রাই টাইপ : এ ধরনের ক্যাপাসিটরের উভয় প্লেট অ্যালুমিনিয়ামের লম্বা ফালি দিয়ে তৈরি এবং এগুলাে ইলেকট্রোলাইট দ্বারা সম্পৃক্ত বিশেষ কাগজ দ্বারা পৃথক করা থাকে। পরে এগুলােকে একত্রে গুটিয়ে দৃঢ়ভাবে বাধা হয়।


     

No comments

Thank you for comment.

Powered by Blogger.